Deepfake Technology : ডিপফেক AI টেকনোলজি কি? রশ্মিকার পর, রতন টাটার ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল, ডিপফেক AI কীভাবে এড়াবেন? আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বা ডিপফেক ভিডিওর নাম শুনেছেন। কিন্তু আপনাদের এখনো হয়তোবা সেই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানা হয়ে ওঠেনি।
আজকে আমি আপনাদেরকে জানাতে চলেছি ডিপফেক ভিডিও কি (Deepfake Technology AI ), ডিপফেক ভিডিও কিভাবে বানানো হয়, কেন ডিপফেক ভিডিও বিপদজনক এবং ডিপফেক ভিডিও আপনি কিভাবে চিনবেন?
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখা মাধ্যমে আপনি ডিপফেক ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন। এজন্য আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ অবশ্যই দেখুন।
✰ সূচিপত্র:
ডিপফেক ভিডিও কি? (What is deepfake video?)
আপনি হয়তো বা দেখেছেন যে, কোন একটি ফটোতে একজনের ছবি কেটে নিয়ে অন্য আরএকজনের ছবি লাগিয়ে দেওয়া যায় (Deepfake Technology AI )। যেখানে আপনিও হয়তো বা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এই বিষয়টি চেষ্টা করে দেখেছেন। আর এটি আমাদের কাছে একটি সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে |
এবং যে কেউ ইচ্ছা করলে যে কারো ছবি কেটে নিয়ে অন্য একজনের মাথায় নিয়ে লাগাতে পারে। যেখানে সেই ছবিটি কে একটি সত্য ছবি বলে মনে হয়। আর এভাবে করে একে অন্যের ছবি জোড়া লাগানোর মাধ্যমে নিজেরা আনন্দ লাভ করি।
কিন্তু বর্তমানে ছবির পাশাপাশি ভিডিও তেও একজনের মাথা অন্য একজনার মাথায় নিয়ে গিয়ে লাগানো সম্ভব। যেখানে একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজনের মুখমন্ডলকে লাগানো হয়। আর সেখানে দেখে মনে হয় সেই মানুষটিই কথা বলছে।
আর এখানে আপনি সেই ভিডিওটি দেখে বলতে পারবেন না যে, এই ভিডিওটি নকল বা ডিপফেক ভিডিও। যেমনভাবে আমরা কোন একটি ফটোতে এডিট করার মাধ্যমে একজনের মাথা কেটে নিয়ে অন্য একজনের মাথায় নিয়ে লাগালে কেউ বুঝতে পারে না (Deepfake Technology AI )।
এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিটি যদি আপনাদের অপরিচিত হয় তবে তো কোন কথাই নেই। যেখানে একজনের ছবি অন্য আর একজনের মাথায় নিয়ে লাগালে এটি ধরা অসম্ভব যে সেই ছবিটি নকল। আর এভাবেই তৈরি ডিপফেক ভিডিও।
যেখানে ছবির বদলে পুরো ভিডিওটি ই একটি নকল ভিডিও। এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ডিপফেক ভিডিও কি (Deepfake Technology AI )। ডিপফেক ভিডিও হল বাস্তব এর মতই একটি নকল ভিডিও।
কী এই ডিপফেক পদ্ধতি? (Deepfake Technology AI)
ডিপফেক পদ্ধতি এমন এক অত্যা আধুনিক প্রযুক্তি, যেখানে AI কে কাজে লাগিয়ে যে কোনও অডিও বা ভিডিওতে কারচুপি করা (Deepfake Technology AI ) । আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে, এই ডিপফেক-এর সাহায্যে এমন ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা যায়, যেটি দেখতে একদম আসলের মতো। এই ডিপফেক-এর সাহায্যে কোনও অশ্লীল ভিডিওতে উপস্থিত মানুষের চেহারা বদল করে মানুষকে ব্লাকমেইলিংয়ের মতো ঘটনা বরাবর ঘটে চলেছে।
আরো পড়ুন >> Jago Prokolpo (জাগো প্রকল্প) 2024 রেজিস্ট্রেশন Online Apply
ডিপফেক ভিডিও কিভাবে বানানো হয়? (How are deepfake videos made? )
ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI ) এমন একটি ভিডিও, যেটি খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নকল; কিন্তু আসলে এটি একটি মিথ্যা ভিডিও। কারণ এখানে ঠোঁটের নড়াচড়া থেকে শুরু করে সকল অঙ্গ ভঙ্গি এবং মানুষের ছায়া এর ও নকল করা হয়।
আর এগুলোর জন্য ব্যবহার করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা ডিপ লার্নিং কে (Deepfake Technology AI )।
এই Deepfake শব্দটি Deep learning; যেটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এরই একটি অংশ, আর Face শব্দ থেকে এসেছে। যেখানে একটি ভিডিও নকল হওয়া সত্বেও সেটি দেখতে এবং শুনতে আসল মনে হয়।
যেখানে ডিপফেক ভিডিওকে (Deepfake Technology AI ) বানানোর জন্য কাজে নেওয়া হয় অনেক জটিল অ্যালগরিদম কে। যেগুলো নিজেই নিজের ভুল থেকে শেখে; অর্থাৎ এই এআই গুলো কে যতই বেশি ব্যবহার করা হবে এগুলো ততই ভালো ফলাফল দিবে।
যেখানে সেই প্রোগ্রামটি যত বেশি ব্যবহার করে মিথ্যা ভিডিও তৈরি করা হবে, সেখানে পরবর্তী ভিডিওগুলো ততবেশি নির্ভুল এবং সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হবে।
অর্থাৎ, পরবর্তী ভিডিওগুলো ধরা আরো কঠিন হয়ে পড়বে এটি আসল নাকি নকল। আর এভাবে করে সময় যাবার সঙ্গে সঙ্গে সেই ডিপফেক প্রোগ্রামটি (Deepfake Technology AI ) নিজের ভুলগুলোকে সংশোধন এবং পরবর্তীতে আরো বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে।
আর আজকের দিনে যার কাছে একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে সেটি ফেক ভিডিও বানাতে পারবে। আর এটির জন্য অনেক অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইট ও রয়েছে। যেগুলোর প্রত্যেকটি ব্যবহার করার জন্য অর্থ গুনতে হয়।
আর এটি (Deepfake Technology AI ) ব্যবহার করার মাধ্যমে যে কেউ যে কারো ভিডিও নকল করতে পারবে। যে কেউ কারো সম্বন্ধে কোন খারাপ প্রচারণা চালাতে পারবে। তবে এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।
আরো পড়ুন >> PM Yuva Yojana Online Registration: অনলাইনে আবেদন
Generative Adversarial Network (GANs) এর মাধ্যমে
বেশিরভাগ ডিপফেক ভিডিও Generative Adversarial Network (GANs) এর মাধ্যমে বানানো হয়। যেটির মধ্যে দুটি Machine learning model কাজ করে। এদের একটি হচ্ছে, Generator এবং অন্যটি হচ্ছে Discriminator.
আপনি যেই প্রোগ্রামটির মধ্যে দিয়ে কোনো ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI ) বানাবেন, সেখানে কোন ছবি কিংবা ভিডিও দেওয়ার পর Generator সে গুলোকে এনালাইসিস করে এবং সেগুলোর উপর ভিত্তি করে একটি নকল ভিডিও তৈরি করে।
আর অন্যদিকে আরও একটি ML model Discriminator সেই ভিডিওটি খুঁত ধরার চেষ্টা করে। যদি Discriminator সেই ভিডিওর মধ্যে কোন ধরনের খুঁত দেখতে পারে তবে সেটিকে আবার Generator এর কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং কোথায় ভুল রয়েছে সেটি ও শনাক্ত করে দেয়; যাতে সে এটা আবার সংশোধন করতে পারে।
আর Generator যত বেশি নিখুঁত ভাবে ভিডিও তৈরি করবে, Discriminator তত ভালো করে ভুল ধরার চেষ্টা করবে। আর এই প্রসেস টি হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি পারফেক্ট ভিডিও তৈরি হচ্ছে। যেটির অনেকটাই নির্ভর করে আপনার ইমপোর্ট করা ডেটার উপর।
আপনি যত বেশি ডাটা সেই প্রোগ্রামটি কে দিবেন সে ততো বেশি এনালাইসিস করে আপনাকে ভালো ভিডিও উপহার দিবে। পিসির জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় একটি ডিপফেক Faceapp এবং অ্যান্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে Zao অ্যাপ। যেগুলোর সাহায্যে আপনিও চাইলে ডিপফেক ভিডিও বানাতে পারেন।
তবে এটি কিন্তু পূর্ণাঙ্গভাবে ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI) বানানোর মত নয়। যেখানে কিছু ভিডিও টেমপ্লেট রয়েছে এবং এগুলোতে আপনি আপনার ছবিকে ব্যবহার করে কোন একটি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
তবে যেসব ডিপফেক ভিডিওগুলো (Deepfake Technology AI) অনেক নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয় সেসব প্রোগ্রামগুলো জনসাধারণের নাগালের বাইরে। যারা এসব প্রোগ্রাম গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ কার্যকালাপ এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম করার জন্য।
আপনিও উপরে বলা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ছবির সঙ্গে মিল রেখে একটি ডিপফেক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন (Deepfake Technology AI )। এটি হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। তবে আপনি এখানে এটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন যে, ডিপফেক ভিডিও কেমন হয়।
ডিপফেক আশীর্বাদ না অভিশাপ ( Deepfake is a blessing not a curse)
বর্তমান প্রযুক্তি (Deepfake Technology AI) আশীর্বাদ না অভিশাপ? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। গোটা পৃথিবীতে এখন AI যুগ চলছে বলা যেতেই পারে।
কিন্তু এই প্রযুক্তিই যখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে আশীর্বাদ না বলে কি অভিশাপ বলাটাই শ্রেয়? এক অন্য বিশেষ কারণের জন্য তৈরি কোনও প্রযুক্তিকে যখন খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন তা হয়ে ওঠে অতি ভয়ানক।
কিছুদিন আগের ঘটনা। ‘পুষ্পা’ সিনেমা খ্যাত অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি বিকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাঁর মুখকে অন্য কোনও অশ্লীল ভিডিও-র সাথে বসিয়ে একটি ফেক ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয় (Deepfake Technology AI)।
যেটি দেখে হুবহু অভিনেত্রীকে মনে হলেও কিন্তু তিনি নন। শুধু অভিনেত্রী নয়, অন্যান্য অনেক মহিলাকে নিয়ে এভাবে আপত্তিকর ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইলিং করা হয়।
ডিপফেক ভিডিও কেন এত বিপদজনক? (Deepfake video why so dangerous? )
আমরা এতদিন শুনে এসেছি বা দেখে এসেছি, কোন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার হলে সেটির কিছু ভালো দিক এবং খারাপ দিক থাকে। যেখানে কোনো একটি প্রযুক্তির হয়তোবা বেশি ভাল দিক থাকে এবং কম খারাপ দিক থাকে, আবার কোন ক্ষেত্রে বেশি খারাপ দিক থাকে কিছুটা পরিমাণে খুব ভালো দিক থাকে।
তবে (Deepfake Technology AI ) ডিপফেক ভিডিওর উপকারিতা বা ভালো দিক বলতে কিছুই নেই। যেখানে ডিপফেক ভিডিও মানুষের উপকার বলতে কিছুই করে না, বরং এটি অনেক মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। যেখানে এই প্রযুক্তি থেকে মানুষ তার ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকার ই আশা করতে পারে না।
ডিপফেক ভিডিও এর বেশি সম্মুখীন হয়ে থাকে সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ ( Deepfake videos are mostly faced by celebrities, politicians)
ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI) এর বেশি সম্মুখীন হয়ে থাকে সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ কিংবা কোন শিল্পীরা। তবে বর্তমানে সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিবিদ এরা ছাড়াও বহু মানুষের ভিডিওর শিকার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডিপফেক ভিডিওর ক্ষেত্রে এটিই সবচাইতে খারাপ দিক।
যেখানে অনেকে এটিকে ডিজিটাল যুগের নিউক্লিয়ার বোমার সঙ্গেও তুলনা করেন। যেখানে এটি পারমাণবিক বোমার ক্ষতির মতোই মানুষের জীবনকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে দেয়।
আরো পড়ুন >> Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi Yojana: 15 তম কিস্তির টাকা না পেলে 31 অক্টোবরের আগে KYC করুন
সব ভাইরাল ভিডিও চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না (Don’t blindly believe all viral videos)
আমরা ছোটবেলা থেকেই যেই জিনিসটি দেখি সেটিই বিশ্বাস করে থাকি। আর সেটিই যদি নকল হয় তবে আপনাকে এটিও বিশ্বাস করানো যাবে যেটি আসলে সত্য নয়। তাই আপনাকে আগে সতর্ক হতে হবে। ইন্টারনেটে আপনি যেসব বিষয় ভেবে দেখবেন, সেগুলো চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না।
ডিপফেক ভিডিওকে (Deepfake Technology AI) যাতে করে শনাক্ত করা যায় এজন্য ফেসবুক এবং মাইক্রোসফট এআই তৈরি করছে। তবে খালি চোখে দেখে এটা বুঝার উপায় নেই, কোনটা আসল ভিডিও আর কোনটা নকল ভিডিও।
ডিপফেক ভিডিওর (Deepfake Technology AI) মাধ্যমে আপনাকে এটিও বিশ্বাস করানো সম্ভব যে ভিডিওটি সত্য নয়। যেখানে এটির সাহায্যে আপনাকে খুব সহজেই বোকা বানানো সম্ভব। যদিও বর্তমান সময়ে ডিপফেক ভিডিও পর্ণগ্রাফিতে বেশি ব্যবহার করা হয়।
যেখানে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের ভিডিও বা মুখের আকৃতি পর্নোগ্রাফির ভিডিওতে লাগানো হয়। ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে যে শুধুমাত্র কোন ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, তা নয়।
ডিপফেকের মাধ্যমে ছবি থেকে শুরু করে কারো ভয়েস পর্যন্ত নকল করা সম্ভব (Deepfakes can mimic anything from pictures to someone’s voice )
ডিপফেকের (Deepfake Technology AI) মাধ্যমে কোন ছবি থেকে শুরু করে কারো ভয়েস পর্যন্ত নকল করা সম্ভব। যে কারণে ডিপফেক ভিডিও আরো বেশী বিপদজনক। ডিপফেক ভিডিও সবচাইতে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে।
যেখানে কোনো একজন সেলিব্রিটি পর্ণগ্রাফিতে অভিনয় না করেও তাকে সেই খাতায় নাম লেখাতে হতে পারে। যেখানে কোন একজন ডিপফেক (Deepfake Technology AI) এর মাধ্যমে তার ছবি কে নকল করে সেই পর্নোগ্রাফি ভিডিওতে লাগিয়ে দিতে পারে।
ভাবুন তো, কোন একজন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় না করেও সেই ব্যক্তি যদি একজন পর্নো অভিনেত্রী এর খেতাব পেয়ে যায় তবে ব্যাপারটি কেমন হয়।
যেখানে তার জীবনটা একেবারে দুর্বিষহ হয়ে যাবে। বর্তমানের ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI) সবচাইতে বেশি ব্যবহার হচ্ছে পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে।
যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অভিনেত্রী দিয়ে ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের কে টার্গেট করা হচ্ছে। এখানে শুধুমাত্র কোন সেলিব্রিটিরা তাদের লক্ষ্য পরিণত হচ্ছে না।
বরং, ডিপফেক ভিডিওর (Deepfake Technology AI ) সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও। যেখানে অনেকের ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সে গুলোকে সেসব পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমানে এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে, পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে কোন একজনের ছবি ব্যবহার করে ডিপফেক ভিডিও তৈরি করার।
যেখানে সেই ব্যক্তি সমাজের কাছে একজন খারাপ মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর এসবের সমস্তই হচ্ছে ডিপফেক প্রযুক্তির কারণে।
ডিপফেক ভিডিওর (Deepfake Technology AI) কারণে যে শুধুমাত্র কোন সেলিব্রিটি এবং কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি এর শিকার হচ্ছে তা নয়। বরং ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে কোন একজন রাজনীতিবিদ ও অন্যদলের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে।
যে কারণে কোন দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এছাড়া কোনো ব্যক্তির যদি মিথ্যা ভিডিও তৈরি করা হয় তবে সেটি কোনভাবেই কারো উপকারে আসবেনা। বরং এটি উপকারের বদলে মানুষের ক্ষতিই বেশি পরিমাণে করবে।
ডিপফেক কোথায় ব্যবহৃত হয়? ( Where is Deepfake used?)
এই ডিপফেক পদ্ধতি (Deepfake Technology AI) তৈরি করা হয়েছিল সাধারণত বিনোদনের জন্য। যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাছে এমন কিছু তুলে ধরা, যা বাস্তবে ঘটেনি।
বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পে এই পদ্ধতি অনেক জায়গায় ব্যাবহার করা হয়। মৃত ব্যক্তি বা পূর্বপুরুষদের জীবন্ত ভিডিও তৈরিতেও এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কিন্তু ২০১৯ এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী অনলাইনে পাওয়া ডিপফেক ভিডিওর ৯৭ শতাংশই অশ্লীল ভিডিও (Deepfake Technology AI)।
বিশেষ করে পর্নোগ্রাফিতে এই ডিপফেক পদ্ধতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখমণ্ডল ও চেহারা পাল্টে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হয়েছে।
শুধু এখানেই থেমে নেই, এই ডিপফেক এখন রাজনীতিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনও বিরোধী পার্টিকে আক্রমণ করার জন্য সেই পার্টির কোনও ভিডিওকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিকৃত করে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হচ্ছে। এই ধরনের বহু ভিডিও আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যায়।
ডিপফেক ভিডিও এর উপকারিতা ( Benefits of Deepfake Video)
তবে ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI ) এর উপকারিতা বা ভাল দিক বলতে কিছু নেই, কোন একজন মৃত ব্যক্তির ভিডিও নির্মাণ করার বিষয়টি কাজ করে। যেখানে কোন একজন শিল্পীর কিংবা কোনো একজন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে ও তার আদলে একটি নকল ভিডিও তৈরি করা যায়।
যেখানে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি আসলে একটি নকল ভিডিও কিংবা ছবি। এভাবে করে অন্য কোনো ব্যক্তির ও যদি ছবিকে নকল করা হয়, তবে সেখানেও সেটি দেখে কোন বোঝার উপায় নেই। কেননা ডিপফেক ভিডিওর ভয়েস সেই ব্যক্তির অনুযায়ীই হয় (Deepfake Technology AI)।
ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology Ai) তে কোন ব্যক্তির ভিডিও এবং ভয়েস একই ধরনের হবার কারণে এটিকে সনাক্ত করা অনেক কঠিন। যেখানে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যতীত এ ধরনের ভিডিও আসল-নকল যাচাই করা কঠিন।
এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, ডিপফেক ভিডিও মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
যেখানে বর্তমানে আমরা যেকোন ভিডিও দেখলে সেদিকে বিশ্বাস করে ফেলি, সেখানে আমরা যদি এ ধরনের কোনো ভিডিও দেখি তবে সেটিকেও হয়তোবা বিশ্বাস করে ফেলব। যেখানে আমরা হব বিভ্রান্ত এবং সেই ব্যক্তি হবে প্রতারণার শিকার।
আরো পড়ুন >> স্যাম বাহাদুর হিন্দি মুভি বক্স অফিসে কত কোটি টাকা আয় করলো জানেন কি!
ডিপফেক শনাক্ত করার উপায় কী ? ( What is the way to detect a deepfake ?)
বর্তমানে ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI) অনেক সাধারন পর্যায়ে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ডিপফেক ভিডিও গুলো ধরা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে বর্তমানের যেসব অভিজ্ঞরা ডিপফেক ভিডিও তৈরি করছে, তাদের ভিডিওগুলোর নকল ধরা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে।
যেখানে বর্তমানে আমাদের খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই এই ভিডিওটি আসল নাকি নকল। তবে কোন ভিডিওর মাঝে কথার সঙ্গে মুখের নড়াচড়ার অমিল, ঘাড় এবং কপালের ব্লার থাকা এসব বিষয়গুলো আমরা লক্ষ্য করতে পারি।
যতই দিন যাবে ততই ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI ) এর মান উন্নত হতে থাকবে। যেখানে দিন দিন ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করা আরো বেশী কঠিন হয়ে পড়বে।
কেননা ডিপফেক ভিডিওর সফটওয়্যারটি দিন দিন নিজে তার ভুলগুলো কে সংশোধন করে নেয় এবং সে অনুযায়ী পরবর্তীতে আউটপুট দেয়। যেখানে ডিপফেক ভিডিওতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে ব্যবহার করা হয়।
ডিপফেক ভিডিও বা ছবিকে শনাক্ত করার জন্য বিশেষ কিছু দিকে নজর দিতে হয়। বেশিরভাগ ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI) পুরোপুরি কোনও বিষয়কে নকল করতে পারে না। যার মধ্যে কিছু জিনিস হল মানুষের চুল, নাক, কান। আবার কোনও সময় দেখা যায় অনেকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চোখের পলক পড়ছে না।
তাছাড়াও কনটেন্ট কালারিং বিষয়টি ভালোভাবে নজর করলে দেখা যায় সেটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আরও অনেক পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে এই ডিপফেককে শনাক্ত করা যায় (Deepfake Technology AI)।
বর্তমানে ডিপফেকের কিছু আপত্তিকর জিনিস থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সাইবার সুরক্ষার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
ডিপফেক এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Deepfake)
পণ্য বা ব্র্যান্ড বিবেচনা করার জন্য গ্রাহকদের প্ররোচিত করার পরিবর্তে, একটি বিপণন প্রচারাভিযানে ডিপফেক ভিডিওগুলি (Deepfake Technology AI ) তাদের অনুভূতিকে ম্যানিপুলেট করার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে৷
এই কারণে, ডিপফেক নৈতিক সমস্যায় পড়তে পারে । কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে, প্রযুক্তিটি ব্র্যান্ডের বিষয়বস্তু এবং বর্ণনাকে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে পারে।
ডিপফেক ভিডিও নিয়ে শেষ কথা
প্রত্যেকটি প্রযুক্তির কোন ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে। তবে আমরা যে সব প্রযুক্তি ব্যবহার করি, সেসব প্রযুক্তির ভালো দিক বেশি পরিমাণে রয়েছে। যেখানে বর্তমান প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট আমাদের জীবনকে অনেক সহজ এবং সুন্দর করে দিয়েছে।
আর এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মধ্যেই পরে ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI)।
যেখানে ডিপফেক ভিডিওটি সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার এর মাধ্যমেই হয়। তবে ডিপফেক ভিডিওতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ করার পরিবর্তে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে ।
যাইহোক, ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI ) এর এই প্রযুক্তিটি বর্তমানে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমাদের সচেতনতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ থাকা উচিত। আপনি যে সবকিছুই দেখুন না কেন, সে গুলোকে চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না।
সেই ভিডিও সম্পর্কে নিজে রিসার্চ করুন এবং কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা সেটা বিবেচনা করুন। আপনি কোন অবাস্তব কিছু দেখে নিজে বিচার-বিশ্লেষণ করে সেটিকে বিশ্বাস করুন।
সেইসঙ্গে ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Technology AI) সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেল টি ভাল লাগলে একটি কমেন্ট করবেন। ডিপফেক ভিডিও নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য জানাতে কমেন্ট করুন।
আরো পড়ুন >> Narendra Modi Followers on Social Media 2 কোটি সাবস্ক্রাইবার জানলে অবাক হবেন
FAQ>> Deepfake Technology : ডিপফেক AI টেকনোলজি কি?
Q: ডিপফেক টেকনোলজি কি?
নকল ভিডিও বানানোর এই প্রযুক্তির নাম ডিপফেক বা ডিপফেক টেকনোলজি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো মানুষের হুবহু নকল ভিডিও বানানো সম্ভব। মেশিন লার্নিংয়ের প্রয়োগ ঘটানোর মাধ্যমে দিন দিন এই অভিশপ্ত প্রযুক্তিটি আরো নিখুঁতভাবে নকল ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে।
Q: Deepfake কিভাবে শুরু হয়
শব্দটি 2017 সালে সিন্থেটিক মিডিয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল যখন একজন Reddit মডারেটর “deepfakes” নামে একটি সাবরেডিট তৈরি করেছিলেন এবং এমন ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেছিলেন যা বিদ্যমান পর্নোগ্রাফিক ভিডিওগুলিতে সেলিব্রিটিদের অনুরূপ সন্নিবেশ করতে ফেস-সোয়াপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে
Q: Deep fake কিভাবে কাজ করে
ডিপফেকস দুটি নেটওয়ার্ক জোড়াকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অটোএনকোডারকে লিভারেজ করে, সোর্স-ইমেজ ডেটাসেটের জন্য একটি এনকোডার-ডিকোডার জোড়া এবং আরেকটি টার্গেট-ইমেজ ডেটাসেটের জন্য। জোড়া এনকোডার নেটওয়ার্ক শেয়ার করে, যা এনকোডারকে মানুষের মুখের গঠন শিখতে দেয়।
Q: ডিপফেক কি ভালো
ডিপফেক প্রযুক্তি পাঠ্য-ভিত্তিক বিষয়বস্তু বা অডিও বর্ণনা থেকে বক্তৃতা ভিডিও তৈরি করে অনলাইন শিক্ষাকে আরও ইন্টারেক্টিভ করে তোলে । উপরন্তু, এটি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব থেকে কৃত্রিম কণ্ঠস্বর তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাদের নিজস্ব কণ্ঠে তাদের গল্প/বক্তৃতা বলতে দেয়।
Q: ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে কোন শিল্প উপকৃত হচ্ছে
ডিপফেক-এর আইটি শিল্পে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে আরও ভাল AI প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বিনোদন, গেমিং এবং বিজ্ঞাপন সহ বিভিন্ন শিল্পে নিমজ্জিত অভিজ্ঞতার সুবিধা রয়েছে৷
Q: ডিপফেক এর নেতিবাচক প্রভাব
তাদের হয়রানি, ভয় দেখানো, হেয় করা এবং লোকেদের হেয় করার জন্য ডিজাইন করা যেতে পারে। ডিপফেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে৷ আরও, ডিপফেক প্রযুক্তি প্রতিশোধ পর্ন তৈরির মতো অন্যান্য অনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে উত্সাহিত করতে পারে, যেখানে মহিলারা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
Q: ডিপফেক ভিডিও বানানো কত সহজ
একটি ডিপফেক তৈরি করা একটি সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া ছিল যার জন্য উচ্চ স্তরের প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন। যাইহোক, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমগুলির আবির্ভাবের সাথে, এখন অফ-দ্য-শেল্ফ সফ্টওয়্যার এবং কয়েক ডলার ব্যবহার করে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি ডিপফেক করা সম্ভব৷
Q: ডিপফেক এর সুবিধা ও অসুবিধা
পণ্য বা ব্র্যান্ড বিবেচনা করার জন্য গ্রাহকদের প্ররোচিত করার পরিবর্তে, একটি বিপণন প্রচারাভিযানে ডিপফেক ভিডিওগুলি তাদের অনুভূতিকে ম্যানিপুলেট করার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে৷ এই কারণে, ডিপফেক নৈতিক সমস্যায় পড়তে পারে । কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে, প্রযুক্তিটি ব্র্যান্ডের বিষয়বস্তু এবং বর্ণনাকে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে পারে।
Q: কেন deepfakes মানবতার জন্য নেট ইতিবাচক হয়
ক্রমবর্ধমানভাবে, ডিপফেকের জন্য নতুন ব্যবহার পাওয়া যাচ্ছে। ভালো ব্যবহার। যাদুঘরে দীর্ঘ-মৃত শিল্পীদের পুনঃনির্মাণ করা হোক বা পুনরায় শ্যুট করার প্রয়োজন ছাড়াই ভিডিও সম্পাদনা করা হোক না কেন, ডিপফেক প্রযুক্তি আমাদের এমন জিনিসগুলিকে অনুভব করার অনুমতি দেবে যা আর বিদ্যমান নেই বা যেগুলি কখনও বিদ্যমান নেই ৷
Q: ডিপফেক আমাদের সমাজকে কীভাবে প্রভাবিত করে
ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি : ডিপফেকগুলি বাস্তবসম্মত চেহারার ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিং তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ বা সেলিব্রিটিদের এমন কিছু বলা বা করার যা তারা কখনও করেননি। এটি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, জনমতকে কারচুপি করতে এবং নির্বাচনকে ব্যাহত করার অস্ত্র হতে পারে।
Q: Deepfake ভাল নাকি খারাপ
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডন (ইউসিএল) এর একটি প্রতিবেদনে ডিপফেকগুলিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুতর এআই অপরাধের হুমকি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। স্পুফিংয়ের হুমকি ছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা চাঁদাবাজি অ্যাপ্লিকেশন সহ জাল অডিও এবং ভিডিও সামগ্রীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
Q: আপনি কি জন্য deepfakes ব্যবহার কল্পনা করতে পারেন
তারা শুধুমাত্র জাল অডিও এবং ভিডিও ব্যবহার করে মানুষকে প্রভাবিত করতে বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ হিসাবে বিকশিত হয়েছে। সর্বশেষ লক্ষ্য হল ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংগঠনগুলিকে বিপদে ফেলা এবং তাদের অ্যাক্সেস লাভ করা ”, VMware-এর সাইবার নিরাপত্তা কৌশলের প্রধান রিক ম্যাকএলরয় ব্যাখ্যা করেছেন।
Q: তথ্য প্রযুক্তি শিল্প বলতে কি বোঝ?
কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, পরিমার্জনা নির্ণয় বিশ্লেষণ এবং ব্যবসায়িক প্রয়োজনে করা হয় তা হল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।
Q: Deep fake করা কতটা কঠিন
আপনি যদি নিজের মতো করে ডিপফেক তৈরি করতে চান তবে প্রক্রিয়াটি বরং জটিল হতে পারে, সেরাগুলির জন্য উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন হার্ডওয়্যার এবং পুনরাবৃত্তি এবং টুইকিংয়ের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া প্রয়োজন। কিন্তু, আপনি যদি সহজেই একটি ডিপফেক তৈরি করতে শিখতে চান, তাহলে একটি বহুমুখী টুল রয়েছে যা প্রক্রিয়াটিকে সহজ করতে পারে।