কী ভাবে E Ration Card Download করবেন (West Bengal) 2024

Debashis Saha

কী ভাবে E Ration Card Download করবেন (West Bengal) 2023
Wbscheme Whatsapp Group Link
Join Wbscheme Telegram Channel

কী ভাবে E Ration Card Download করবেন (West Bengal) 2024

ভারতীয় নাগরিকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হল তাদের রেশন কার্ড। বর্তমানে ডিজিটাল রেশন কার্ড (E Ration Card) ছাড়া রেশন কার্ডের কোন ভ্যালিরিটি নেই। এই ডিজিটাল রেশন কার্ড দেখিয়ে আপনি আপনার নিকটবর্তী রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী তুলতে পারেন।

কিন্তু ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য এপ্লাই করার পর অথবা ডিজিটাল রেশন কার্ড সংশোধন করতে দেওয়ার পর এখনো অবধি আপনার বাড়িতে কার্ড এসে পৌঁছায়নি? অথবা আপনার রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন? কি করবেন বুঝতে পারছেন না! তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই।

এখন খুব সহজেই আপনি বাড়িতে বসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনার ডিজিটাল রেশন কার্ড (E Ration Card) ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এর জন্য লাগবে না কোন রকম টাকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

রেশন কার্ড আসার জন্য অপেক্ষা না করে নিচের দেওয়া পদ্ধতি অনুসারে আপনারা ডিজিটাল রেশন কার্ড ডাউনলোড করে নিন। E Ration Card দিয়ে আপনার নিকটবর্তী রেশন দোকান থেকে আপনার খাদ্য সামগ্রী তুলুন।

ই – রেশন কার্ড ডাউনলোড করার আগে কী কী জেনে নেওয়া দরকার?

  • রেশন কার্ড শুধুমাত্র তাঁরাই ডাউনলোড করতে পারবেন, যাঁরা অনলাইনে নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন।
  • যে সমস্ত ব্যক্তি ডিজিটাল রেশন কার্ড অনলাইনের আবেদন করেননি অর্থাৎ যাঁরা অফলাইনের মাধ্যমে ফুড সাপ্লাই অফিসে বা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়ে রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা বর্তমানে এই রেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না।
  • যদি আবেদনকারী অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বরও লিঙ্ক করে থাকেন, তা সত্ত্বেও তিনি অনলাইন থেকে এই ই -রেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না ।
  • অর্থাৎ, যাঁরা শুধু মাত্র অনলাইন থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন, শুধু মাত্র তাঁরাই রেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

{Wbpds} E Ration Card {2024} Application Status Check

কী ভাবে E Ration Card Download করবেন ?

  • ই – রেশন কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট পরিষেবা থাকা প্রয়োজন। দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে করবেন ই-রেশন কার্ড ডাউনলোড।
  • প্রথমে আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
  • এর জন্য কেউ চাইলে সরাসরি সেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। চাইলে গুগল ক্রোমে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কথা লিখতে পারেন। প্রথমেই আসবে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের লিঙ্কটি।
  • হোম পেজের বাঁ দিকে একদম ওপরেই থাকে রেশন কার্ড। সেখানে প্লাস সাইলে ক্লিক করলে কয়েকটি অপশন থাকে।
  • সেই অপশনগুলির মধ্যে প্রথমে আসবে ই-রেশন কার্ড। সেখানে ক্লিক করতে হবে।
  • ই-রেশন কার্ডের সেকশন খুলে গেলে দেখা যাবে একদম নীচে তিনটি অপশন আছে। সেখানে কিল্ক টু ডাউনলোড ই – রেশন কার্ড অপশনে Click করতে হবে।
  • Page প্রথমে নিজের রেশন কার্ডের নম্বর ঠিক মতো লিখতে হবে।
  • তার নীচে থাকবে ক্যাটাগরি। সেই ক্যাটাগরি থেকে সিলেক্ট করতে হবে যে কোনও একটি অপশন। অপশনগুলি হল- এ এ ওয়াই, পি এইচ এইচ, এস পি এইচ এইচ, আর কে এস ওয়াই – ওয়ান, আর কে এস ওয়াই – টু, জি ই এন। নিজের রেশন কার্ড কেমন ধরনের, সেটা দেখে এই ক্যাটাগরিতে ক্লিক করতে হবে।
  • এর পরে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলে ডাউনলোড হয়ে যাবে আবেদনকারীর ই-রেশন কার্ড।
  • বাড়িতে বসেই সহজে নিজের রেশন কার্ডটি ডাউনলোড করুন.

WB Ration Card Details সংশোধন, আধার লিঙ্ক, মোবাইল নম্বর লিঙ্ক কিভাবে করবেন

E-ration Card Status Check Online West Bengal

  • খাদ্য দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটি wbpds.wb.gov.in খুলুন আপনার মোবাইলে।
  • তারপর উপরের options অর্থাৎ তিনটি লাইনের মতো ছবিতে ক্লিক করবেন ওখানে অনেক গুলি options আসবে। (HOME, GRIEVANCEE, E-CITIZEN, FOR OFFICIAL PURPOSE)
  • তারপর E-CITIZEN options টিতে ক্লিক করে তারপর Check Application Status এ ক্লিক করুন ।
  • তারপর ration card এর জন্য কোন ফর্ম জমা করেছেন সেটি সিলেক্ট করুন ( FORM- III /FORM -IV /FORM -V /FORM -VI /FORM -VII /FORM -VIII /FORM -IX /FORM -X ইত্যাদি )
  • রেশন কার্ড চেক করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার (application number 16/10) বা মোবাইল নম্বর দিন ।
  • যদি এপ্লিকেশন নাম্বার না থাকে তাহলে আবেদন করার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বরটি দিন ।
  • তারপর ক্যাপচা টি লিখে Search করলে আপনার রেশন কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবে।

Wbpds e Ration Card

বর্তমানে ডিজিটালািজেশনের দিকে ঝুঁকছে গোটা বিশ্ব। পিছিয়ে নেই ভারতও। সেই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে ডিজিটাল রেশন কার্ড চালু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের পাশাপাশি ডিজিটাল রেশন কার্ডের প্রয়োজনীয়তা ইদানীং বেড়েছে। রেশন কার্ড একধরনের পরিচয় পত্রও। এত দিন একটি রেশন কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা কেবল একটি নির্দিষ্ট দোকানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

নির্দিষ্ট রেশন দোকান থেকেই খাদ্যশস্য কেনা বা ভর্তুকিতে অথবা বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে। ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনে রাজ্যের যে কোনও অঞ্চল থেকেই সেই রেশন তোলার সুবিধে পাওয়া যাবে, তার জন্য চালু হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড।

এই ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে একই কার্ডের মধ্যে গোটা পরিবারের একাধিক এবং প্রয়োজনে সমস্ত সদস্যদের নাম নথিভুক্ত করা যাবে। এর পাশাপাশি ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন, নতুন সদস্যের নাম যোগ করা, কোনও ভুল তথ্য থাকলে তা সংশোধন করে সঠিক করে নেওয়া, ডিজিটাল রেশন কার্ডের Status জানা, ডিজিটাল রেশন কার্ড ডাউনলোড করা ইত্যাদি সব কাজই করা সম্ভব অনলাইনে।

ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে বিশেষ কিছু নির্দেশাবলী:

সময়ের সঙ্গে বদলেছে রেশন কার্ডের প্রয়োজনীতা। তাই ডিজিটাল রেশন কার্ড পুরনো দিনের মতো আর শুধু মাত্র ঠিকানার প্রমাণ হিসেবেই সীমাবদ্ধ নেই। বেড়েছে তার ব্যবহারিক গুরুত্ব। তাই ডিজিটাল রেশন কার্ড সম্পর্কে কী কী জেনে রাখা প্রয়োজন।

  • এই ডিজিটাল রেশন কার্ড আদতে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে দেওয়া একটা প্রিন্টেড কপি। কিন্তু অনেক সময়ে ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতের কাছে না থাকলেও ই – রেশন কার্ড দিয়ে কাজ চালানো যায়। অর্থাৎ ই – রেশন কার্ড এবং অরিজিনাল ডিজিটাল রেশন কার্ডের বৈধতা সমান ।
  • গ্রাম হোক অথবা শহর… রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে নির্দিষ্ট ন্যায্য মূল্যের রেশন দোকানে রেশন দ্রব্যের পাশাপাশি কেরোসিন তেল এবং অন্যান্য জিনিসের সুবিধে নেওয়ার জন্য এই ই-রেশন কার্ডটিও ব্যবহার করা যাবে।
  • রেশন কার্ড গ্রাহকদের রেজিস্টার্ড অর্থাৎ নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বরে পাঠানো এই ই – রেশন কার্ডের সফট কপি অরিজিনাল রেশন কার্ডের প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। এর পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যের রেশন দোকানগুলি গ্রাহককে শুধু মাত্রে এই ই – রেশন কার্ডের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট রেশন দ্রব্য দিতে বাধ্য থাকবে ।
  • পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য সরবরাহ দফতরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রেশন কার্ড পাওয়া যাবে |
  • রেশন দ্রব্য নেওয়ার সময়ে গ্রাহকের রেজিস্টার্ড বা নথিভুক্ত করা মোবাইল নাম্বারে ওটিপি পাঠানো হয়। সেই ওটিপি রেশন দোকানের ডিলারকে দিয়ে তার পর নির্দিষ্ট দ্রব্যের মাল গ্রাহক নিতে পারবেন স্বচ্ছন্দে।
  • ই – রেশন কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধে হল, এই কার্ড সব সময়ে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে না। আমাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার ফলে এক সময়ে প্রতিনিয়ত কার্ডের তথ্যগুলি এবং বারকোড গুলি মুছে যাওয়ার বা হালকা হওয়ার ঘটনা একেবারে অস্বাভাবিক নয়। তাই যদি কোনও গ্রাহকের কাছে যদি এই ই-রেশন কার্ড থাকে, তা হলে অরিজিনাল ডিজিটাল রেশন কার্ডের পরিবর্তে ই-রেশন কার্ডই ব্যবহার করা যাবে।

Leave a Comment