হাতে স্মার্টফোন আছে, তবে দিনে একবারও WhatsApp প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ আজকালকার দিনে খুঁজে পাওয়া যায় না! বিগত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বের মানুষকে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে এই WhatsApp, যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায়।
এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্য একটি পরিষেবা, কেবলমাত্র ইন্টারনেট রিচার্জ ছাড়া এর জন্য কোনো অতিরিক্ত খরচ করতে হয়না। কিন্তু তা কি সম্পূর্ণ সত্যি?
✰ সূচিপত্র:
হোয়াটস্যাপ Free র Paid কাদের জন্য
হোয়াটস্যাপ ব্যবহার কারীদের জন্য কোনো রকম চার্জ লাগবে না, normal user তা বিনামূল্যে whatsapp কে ব্যবহার করতে পারবেন।
হোয়াটস্যাপ এ বিজ্ঞাপন র ব্যাপারটা তাদের জন্য যারা শুধুমাত্র products বিক্রি করতে চায় বা অন্য কোনোরকম promotion করতে চায় তারা হোয়াটস্যাপ র মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেক মানুষের কাছে তাদের product বিক্রি করতে পারে।
চার্জ নেওয়ার খবর অস্বীকার করেছে WhatsApp
যেমনটা আগেই বলেছি, হোয়াটসঅ্যাপের পেইড সার্ভিস নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে – বিশেষ করে ভারত এবং ব্রাজিলের বিশাল ইউজারবেসের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ টাকা নেবে বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে প্ল্যাটফর্মটি এখন নিজেই এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউজারদের চার্জ প্রদানের বিষয়টি একেবারে ভুয়ো এবং হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানি এই সময় ইন-অ্যাপ অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখানোর পরিকল্পনা করছেন না, তাহলে চার্জ দেওয়ার কোনো প্রসঙ্গ থাকছে না।
এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের লন্ডন ইউনিটের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর অ্যালিস নিউটন-রেক্স বলেছেন যে, হোয়াটসঅ্যাপের বিশাল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এমন খবর ছড়ানোর প্রবণতা বহু বছর ধরে চলছে। কিন্তু এগুলি মোটেও সত্যি নয়।
আসলে ভারতে প্রচুর মানুষ Messaging, File Sharing, Video call থেকে শুরু করে Online Payment মতো কাজের জন্য whatsapp ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে ব্রাজিলে ট্রেন-বাসের টিকিট বুক করা, অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার করা ইত্যাদি সবকিছুই প্ল্যাটফর্মটির সাহায্যে করা হয়ে থাকে। তাই সাধারণ মানুষকে হয়রান করার জন্য বা আর্থিক প্রতারণা জাতীয় কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর জন্য এইসব ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়।